
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লিখবে?
⇒ ‘অনুধাবন’ বলতে কোন বিষয়ের অর্থ বোঝার সক্ষমতাকে বোঝায়। এটি হতে পারে কোন তথ্য, নীতিমালা, সূত্র, নিয়ম, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ইত্যাদি বুঝতে পারার সক্ষমতা।
⇒ অনুধাবন স্তর হলো চিন্তন-দক্ষতার দ্বিতীয় স্তর। এই প্রশ্নটি ‘খ’ তে দেয়া থাকে। এধরণের প্রশ্নে সরাসরি পাঠ্যবইয়ের অনুরূপ বিবরণ জানতে চাওয়া হয় না। তাই শিক্ষার্থীকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা বা বর্ণনা করতে হবে।
⇒ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে ২। এর মধ্যে জ্ঞানের জন্য ১ ও অনুধাবনের জন্য ১।
⇒ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুই প্যারায় লেখা ভালো। যার প্রথম প্যারায় জ্ঞান অংশের উত্তর ও দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর।
⇒ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বাক্যে উত্তর লিখতে হবে। তবে এর সামান্য কম-বেশি হলে কোন অসুবিধা নেই।
⇒ এক্ষেত্রে কোনভাবেই প্রশ্নের উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক কথা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা বাহুল্যদোষ করা যাবে না।
নিচের প্রশ্নসমূহের উত্তর হুবহু মুখস্ত করবে না। নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হয়েছে যাতে বুঝতে পারো কীভাবে প্রশ্ন হয় এবং কীভাবে উত্তর করতে হবে।
৪। “ডাইনামিক ওয়েবসাইট স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তুলনায় সুবিধাজনক”–ব্যাখ্যা কর।
যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। অপরদিকে যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্যসমূহ দ্রুত আপডেট করা যায়, ব্যবহারকারীর মতামত দেয়ার ব্যবস্থা থাকে এবং ওয়েবসাইটে যেকোন ফাংশনালিটি যুক্ত করা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে থাকে না। তাই বলা যায়, ডাইনামিক ওয়েবসাইট স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তুলনায় সুবিধাজনক।
৫। কোন ক্ষেত্রে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তুলনায় সুবিধাজনক? – ব্যাখ্যা কর।
৬। স্ট্যাটিক ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট | ডাইনামিক ওয়েবসাইট |
যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। | যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। |
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সকল ভিজিটর একই তথ্য দেখতে পায়। | ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য, ভিজিটর, সময়, টাইম জোন, ভিজিটরের মাতৃভাষা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হয়। |
শুধু HTML এবং CSS দিয়েই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। | ওয়েবসাইট তৈরি করতে HTML,CSS এর সাথে একটি স্ক্রিপ্টিং ভাষা এবং ডেটাবেজ ব্যবহার করতে হয়। |
ওয়েবসাইটের পেজ সংখ্যা নির্দিস্ট থাকে। | ওয়েবসাইটের পেজ সংখ্যা নির্দিস্ট থাকে না। |
কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়। | সার্ভার ও ক্লায়েন্ট এর উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়। |
কোন ডেটাবেজ থাকে না । | ডেটাবেজ থাকে। |
কোনও প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয় না। | প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয়। |
স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .html বা .htm হয়। | ডাইনামিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .php বা .asp বা .jsp হয়। |
ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা সহজ। ফলে খরচ কম। | ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা কঠিন। ফলে খরচ বেশি। |
ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। | ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। |
ওয়েবসাইটে কোন ফাংশনালিটি থাকে না। | ওয়েবসাইটে যেকোন ফাংশনালিটি যুক্ত করা যায়। |
৭। ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয় কেন?
৮। ডোমেইন নেইমের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইটকে ডোমেইন নেইম বা আইপি অ্যাড্রেস এর সাহায্যে অনুসন্ধান করা যায়। ডোমেইন নেইম হলো টেক্সট অ্যাড্রেস অপরদিকে আইপি অ্যাড্রেস হলো সংখাবাচক অ্যাড্রেস। প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসের বিপরীতে থাকা ডোমেইন নেইম মনে রাখা অপেক্ষাকৃত সহজ কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা কষ্টকর। তাই বলা যায় ডোমেইন নেইমের গুরুত্ব অপরিসীম।
“www.mangoinfo.com” – ব্যাখ্যা কর। [রা. বো. – 2016]
১০। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম হওয়া উচিত প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত- ব্যাখ্যা কর।
ইন্টারনেট থেকে কোনো ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করার জন্য দুইটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, একটি IP Address যা সংখাবাচক ফলে এটি মনে রাখা কষ্টকর এবং অন্যটি হচ্ছে ডোমেইন নেইম যা টেক্সট নির্ভর। ডোমেইন নেইম হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস বা ওয়েব অ্যাড্রেস। এই ডোমেইন নেইমের মাধ্যমেই সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেকোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট খুঁজে পায়। তাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়া উচিত। যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করতে পারে।
১২। টপ-লেভেল ডোমেইন ব্যাখ্যা কর।
কোনো ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করার জন্য ডোমেইন নেম ব্যবহৃত হয়। ডোমেইন নেমকে সেকেন্ড-লেভেল এবং টপ-লেভেল দুইটি অংশে ভাগ করা হয়। টপ-লেভেল ডোমেইনকে আবার জেনেরিক এবং কান্ট্রি ডোমেইন এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। জেনেরিক ডোমেইন দ্বারা ওয়েবসাইটটি কী ধরনের এবং কান্ট্রি ডোমেইন দ্বারা ওয়েবসাইটটি কোন দেশের সেটি জানা যায়।
যেমন- www.xyz.edu.bd ডোমেইন নেমের edu.bd অংশটি হল টপ লেভেল ডোমেইন। যার edu ওয়েবসাইটটির ধরণ এবং bd ওয়েবসাইটটি কোন দেশের সেটি জানা যায়।
১৩। টপ লেভেল ডোমেইন ব্যতীত ওয়েব অ্যাড্রেস সম্ভব নয়- ব্যাখ্যা কর।
ওয়েব অ্যাড্রেসের একটি অংশ প্রোটোকল এবং অপরটি ডোমেইন নেইম। ডোমেইন নেইমকে second level এবং top level নামক দুইটি পৃথক অংশে ভাগ করা হয়। টপ লেভেল ডোমেইন নেইম দ্বারা ওয়েবসাইটের প্রকৃতি অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি কী ধরনের সেটি প্রকাশ পায়। টপ লেভেল ডোমেইন নেইম দেখে ব্যবহারকারী খুব সহজেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা পায়। যেমন- www.xyz.com অ্যাড্রেসের .com অংশটি হল টপ লেভেল ডোমেইন। টপ লেভেল ডোমেইন হচ্ছে একটি ডোমেইন নেইমের অপরিহার্য অংশ । তাই একটি ওয়েব অ্যাড্রেসের জন্য টপ লেভেল ডোমেইন নেইম থাকা বাঞ্ছনীয়।
১৫। 121.235.101.11 ব্যাখ্যা কর।
121.235.101.11 বলতে ইন্টারনেট প্রটোকলের IPV4 বুঝায়। IPV4 ডেসিমেল নোটেশনে থাকে এবং চারটি অংশ থাকে। প্রতিটি অংশের সংখ্যা ০-২৫৫ এর মধ্যে থাকতে হয় যা অক্টেট নামে পরিচিত। অর্থাৎ IPV4 এ চারটি অক্টেট থাকে যা ডট(.) দ্বারা পৃথক করা থাকে। চারটি অক্টটেট থাকায় IPV4 হলো 32 বিটের অ্যাড্রেস যার প্রথম দুটি অক্টেট নেটওয়ার্ক আইডি এবং পরের দুইটি অক্টেট হোস্ট আইডি।
♦ ভিডিও লেকচার পেতে YouTube চ্যানেলটিতে Subscribe করো।
♦ HSC ICT চতুর্থ অধ্যায়ের নোট পেতে ক্লিক করো।
♦ ICT সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানতে Facebook গ্রুপে যুক্ত হও।
১৬। IPV4 এবং IPV6 এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।
IPV4 | IPV6 |
IPV4 হলো Internet Protocol Version-4 ।
| IPV6 হলো Internet Protocol Version-6।
|
IPV4 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অংশ বা অকটেট থাকে এবং প্রতি অংশে ৮ বিট অর্থাৎ মোট ৩২ বিট প্রয়োজন।
| IPV6 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট আটটি অংশ থাকে এবং প্রতি অংশে ১৬ বিট অর্থাৎ মোট ১২৮ বিট প্রয়োজন।
|
IPV4 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Decimal ফরম্যাটে লেখা হয়।
| IPV6 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Hexadecimal ফরম্যাটে লেখা হয়।
|
IPV4 এ মোট ২৩২ বা 4,294,967,296 সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়।
| IPV6 দ্বারা মোট ২১২৮ বা 3.4 x 1038or 340 undecillion সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস তৈরি করা সম্ভব। |
১৭। ওয়েবসাইটের হায়ারার্কিক্যাল স্ট্রাকচার ব্যাখ্যা কর।
ট্রি স্ট্রাকচার এর অপর নাম হায়ারার্কিক্যাল স্ট্রাকচার ।এই কাঠামোতে একটি হোম পেইজ থাকে এবং অন্যান্য পেইজ গুলো হোম পেইজের সাথে যুক্ত থাকে, এদেরকে সাব-পেইজ বলে। সাব-পেইজ গুলোর সাথে আরও অন্যান্য পেইজ যুক্ত থাকে। এই ধরণের কাঠামোতে হোম পেইজে মেনু এবং সাব-মেনু তৈরি করা থাকে।এতে করে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে। লিংকের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই ওয়েব সাইটের এক পেইজ থেকে অন্য পেইজ ব্রাউজ করতে পারে। কাঠামোটি দেখতে ট্রি এর মত বলে এই কাঠামোকে ট্রি কাঠামোও বলে। ওয়েবসাইট কাঠামোগুলোর মধ্যে হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়।
১৮। “ট্রি স্ট্রাকচার লিনিয়ার স্ট্রাকচার অপেক্ষা সুবিধাজনক” -ব্যাখ্যা কর।
যখন একটি ওয়েবসাইটের পেইজগুলো নির্দিষ্ট সিকুয়েন্স অনুসারে ভিজিট করার প্রয়োজন হয় তখন লিনিয়ার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের পেজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, First, Last ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ট্রি স্ট্রাকচার ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন শাখাগুলোকে আলাদাভাবে সংযুক্ত করা হয়। হোমপেইজে, সাব মেনু ও অন্যান্য পেজের লিংক থাকে। এতে করে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে। লিংকের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই ওয়েবসাইটের এক পেইজ থেকে অন্য পেইজ ব্রাউজ করতে পারে। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, স্ট্রাকচার দুটির মধ্যে ট্রি স্ট্রাকচারটির ব্যবহার সুবিধাজনক।
১৯। “ওয়েবসাইট কাঠামো প্রতিষ্ঠানের ধরণের উপর নির্ভরশীল” -ব্যাখ্যা কর।
২০। “ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ক্রমানুসারে বিচরণ সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।
২২। HTML প্লাটফর্ম নির্ভর নয়-ব্যাখ্যা কর।
২৩। ওয়েবপেইজ তৈরিতে HTML ভাষা বেশি জনপ্রিয়- ব্যাখ্যা কর।
ওয়েবপেইজ তৈরিতে HTML ভাষার ব্যবহার অনেক সুবিধাজনক। HTML ভাষার ব্যবহার এবং এর সিনটেক্স সমূহ সহজ তাই HTML ভাষা শেখা সহজ। যেকোনো টেক্সট এডিটরে কোড লেখা যায়। তৈরিকৃত ওয়েবপেইজের সাইজ কম হয় তাই ব্রাউজ করতে সময় কম লাগে এবং হোস্টিং স্পেসও কম লাগে। অধিকাংশ ব্রাউজার সাপোর্ট করে। ইউজার ফ্রেন্ডলি ওপেন টেকনোলজি। উপরে উল্লিখিত সুবিধাসমূহের জন্য ওয়েবপেইজ তৈরিতে HTML ভাষা বেশি জনপ্রিয়।
২৪। HTML কোন Case sensitive ভাষা নয়- ব্যাখ্যা কর।
অন্য সকল প্রোগ্রামিং ভাষার মতো HTML ভাষা case sensitive নয়। অর্থাৎ HTML ভাষায় বড় হাতের অক্ষর (Upper case) বা ছোট হাতের অক্ষর (Lower case) যাই ব্যবহার করা হোক না কেনো তা একই ধরনের কাজ সম্পাদন করে। তবে HTML ট্যাগের বানান কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেমন- HTML এ <img> এবং <IMG> এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
২৫। ট্যাগ ও অ্যাট্রিবিউট উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
HTML ট্যাগ হলো এক ধরণের লুকায়িত কীওয়ার্ড যা একটি ওয়েবপেইজের তথ্য বা বিষয়বস্তু কীভাবে বিন্যাস এবং প্রদর্শন করবে তা সুনির্দিষ্ট করে। অপরপক্ষে, HTML অ্যাট্রিবিউট হচ্ছে HTML এলিমেন্ট সমূহের বৈশিষ্ট্য নির্ধারক। অ্যাট্রিবিউট সবসময় ওপেনিং ট্যাগে লেখা হয়। একটি অ্যাট্রিবিউটের দুটি অংশ থাকে। যথা: Attribute Name এবং Attribute Value। অ্যাট্রিবিউটগুলো এলিমেন্টসমূহের বাড়তি কিছু তথ্য প্রদান করে থাকে। উদাহরণঃ- <font size=“18”> This is a text </font>। এখানে <font> হচ্ছে Tag এবং size হচ্ছে অ্যাট্রিবিউট । size অ্যাট্রিবিউটের সাহায্যে ফন্টের সাইজ নির্ধারণ করা হয়।
২৬। এম্পটি ও কন্টেইনার ট্যাগের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
কনটেইনার ট্যাগ | এম্পটি ট্যাগ |
যেসকল ট্যাগের ওপেনিং ট্যাগ, কনটেন্ট ও ক্লোজিং ট্যাগ থাকে তাদেরকে কনটেইনার ট্যাগ বলে। | যেসকল ট্যাগের শুধুমাত্র ওপেনিং ট্যাগ থাকে কিন্তু ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না তাদেরকে এম্পটি ট্যাগ বলে। |
<p> </p>, <b> </b> ইত্যাদি। | <br>, <hr>, <img> ইত্যাদি। |
২৬। ওপেনিং(Start) ট্যাগ ও ক্লোজিং(End) ট্যাগের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
ওপেনিং ট্যাগ | ক্লোজিং ট্যাগ |
ওপেনিং ট্যাগে কোন ফরওয়ার্ড(/) স্ল্যাশ থাকে না। | ক্লোজিং ট্যাগে ফরওয়ার্ড(/) স্ল্যাশ থাকে। |
ওপেনিং ট্যাগে অ্যাট্রিবিউট লেখা হয়। | ক্লোজিং ট্যাগে অ্যাট্রিবিউট লেখা হয় না। |
২৭। <a> ও <br> ট্যাগদ্বয় ব্যাখ্যা কর।
<a> ট্যাগকে বলা হয় অ্যাংকর ট্যাগ যা হাইপারলিঙ্ক তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এর গঠনঃ <a href= “url”> Link text </a>। এটি একটি Container Tag। কারণ এর ওপেনিং ট্যাগ, ট্যাগের বিষয়বস্তু ও ক্লোজিং ট্যাগ থাকে। অপরদিকে <br> ট্যাগকে বলা হয় ব্রেক ট্যাগ। সাধারণত নতুন লাইন তৈরি কিংবা এক বা একাধিক ফাঁকা লাইন তৈরি করার জন্য <br> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এটি একটি Empty Tag। কারণ এই ট্যাগের কোন ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না। উদাহরনঃ- <p>Welcome to our website<br>This is a Website<p>
২৮। <b> ও <br> ট্যাগদ্বয় ব্যাখ্যা কর।
৩০। হাইপারলিঙ্ক কী – ব্যাখ্যা কর।
হাইপারলিঙ্ক এর মাধ্যমে একটি ওয়েবপেইজের সাথে অন্য একটি ওয়েবপেইজ/ওয়েবসাইট/ডকুমেন্টের সংযোগ করা হয়। HTML এ এঙ্কর (<a> </a>) ট্যাগ ব্যবহার করে হাইপারলিংক করা হয়। ওয়েবসাইটের প্রতিটি স্বতন্ত্র ফাইলের সাথে হোমপেইজ বা অন্যান্য পেইজের সংযোগ দেওয়া হয় লিংক বা হাইপারলিঙ্ক এর সাহায্যে। হাইপারলিঙ্ক সাধারণত তিন ধরণের। যথাঃ গ্লোবাল হাইপারলিঙ্ক, লোকাল হাইপারলিঙ্ক, ইন্টারনাল হাইপারলিঙ্ক।
উদাহরণঃ- <a href= “https://www.edupointbd.com”>Go to EduPointBD<a>
৩২। হাইপারলিংক তৈরি করতে href অ্যাট্রিবিউটের ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয়-ব্যাখ্যা কর।
৩৩। <img> ট্যাগ বুঝিয়ে লেখ। [দি. বো. – 2016]
ওয়েবপেইজে ছবি যুক্ত করার জন্য <img> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। এই ট্যাগের কোনো শেষ ট্যাগ নেই। ওয়েবপেইজে ছবি যুক্ত করার জন্য <img> ট্যাগ এর সাথে src অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হয়। src অ্যাট্রিবিউটে ইমেজটির লোকেশন, নাম ও ফরম্যাট উল্লেখ করতে হয়। এছাড়া width এবং height অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করে যথাক্রমে ছবির প্রস্থ এবং উচ্চতা নির্ধারন করা যায়। logo.png নামক একটি ছবিকে ওয়েবপেইজে প্রদর্শনের জন্য <img> ট্যাগের বাস্তবায়ন নিম্নরূপ-
<img src= “logo.png”>
৩৪। <img> ট্যাগে src অ্যাট্রিবিউটের ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয় – ব্যাখ্যা কর।
ওয়েবপেজে ছবি যুক্ত করতে <img> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। HTML এ ছবি যুক্ত করতে ব্যবহৃত <img> ট্যাগের সিনট্যাক্স
<img src=”url_of_image”।
যে ছবি যুক্ত করা হবে, তার url বা এড্রেস <img> ট্যাগে নির্ধারণ করা আবশ্যিক। এক্ষেত্রে src অ্যাট্রিবিউট এর সাহায্যে ছবির এড্রেস নির্ধারণ করতে হয়। তাই <img> ট্যাগে src অ্যাট্রিবিউট অত্যাবশ্যকীয়।
৩৫। হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি গুরত্বপূর্ণ ধাপ- ব্যাখ্যা কর।
[দি. বো. – 2019 , সি. বো. – 2017]
একটি ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ইন্টারনেটে প্রকাশের প্রক্রিয়াকে ওয়েবসাইট পাবলিশিং বলে। ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে প্রকাশের জন্য একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত ডোমেইন এর অধীনে কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা বা আপলোড করতে হয়, যাকে ওয়েবসাইট হোস্টিং বলা হয়।
যখন লোকাল কম্পিউটারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, সেই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে অন্য কোন ডিভাইস থেকে এক্সেস করা যায় না। ইন্টারনেটে প্রকাশের জন্য ওয়েবসাইটটিকে একটি ডোমেইন এর অধীনে ওয়েব সার্ভারে রাখতে হয়। তাই বলা যায় – ওয়েব হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ।
হোস্টিং কেন প্রয়োজন? – বুঝিয়ে লিখ।
[ঢা.বো. , দি. বো. , য. বো. , সি. বো. – 2018]
ওয়েব হোস্টিং একটি গুরত্বপূর্ণ ধাপ – ব্যাখ্যা কর। [ব. বো. – 2019]
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ইন্টারনেটে প্রকাশ করতে হয়, যাকে ওয়েবসাইট পাবলিশিং বলে। ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে প্রকাশের জন্য একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত ডোমেইন এর অধীনে কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা বা আপলোড করতে হয়, যাকে ওয়েবসাইট হোস্টিং বলা হয়।
যখন লোকাল কম্পিউটারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, সেই ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে অন্য কোন ডিভাইস থেকে এক্সেস করা যায় না। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে প্রকাশের জন্য ওয়েবসাইটটিকে একটি ডোমেইন এর অধীনে ওয়েব সার্ভারে রাখতে হয়। তাই বলা যায়- ওয়েব হোস্টিং একটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ।
৩৬। ডোমেইন নেমের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। [য. বো. – 2017]
৩৬। ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কেন? [ব. বো. – 2016]
প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি স্বতন্ত্র নাম থাকতে হয়,যার সাহায্যে ওয়েবসাইটটি বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। এই স্বতন্ত্র নামকে ডোমেইন নেইম বলা হয়। যেহেতু প্রতিটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম স্বতন্ত্র হতে হয়, তাই এটি একটি মাত্র সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রন করতে হয়। Internet Corporation for Assigned Names and Numbers নামক সংস্থাটি ডোমেইন নেইম নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এই সংস্থার অধীনে বিভিন্ন কোম্পানি নির্দিস্ট ফি এর বিনিময়ে ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি ওয়েবসাইটের স্বতন্ত্র নামের জন্যই ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
Written by,
- Mizanur Rahman (Mizan)
- Lecturer in ICT, Shaheed Bir Uttam Lt. Anwar Girls’ College ,Dhaka Cantonment
- Author at www.edupointbd.com
- Software Engineer at mands IT
- Former Lecturer in ICT, Cambrian College, Dhaka
- Email: mizanjust@gmail.com
- Cell: 01724351470
answerগুলি দেন
ip address এর চেয়ে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা সহজ ব্যাখ্যা কর? answer cai?
This ans is very helpfu.
Thank You Sir
It very Help full for us
Tnx you
Very essential.
Thank you sir