নেটওয়ার্ক টপোলজি – বাস, রিং, স্টার, ট্রি, মেশ ও হাইব্রিড টপোলজি

Network Topology

এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে-

১। নেটওয়ার্ক টপোলজির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।

২। বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক টপোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৩। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক টপোলজির ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ ব্যাখ্যা করতে পারবে।

৪। কোন ক্ষেত্রে কোন টপোলজি ব্যবহার সুবিধাজনক তা বিশ্লেষণ করতে পারবে।

 

Go for English Version

 

নেটওয়ার্ক টপোলজি কী ? 

নেটওয়ার্কে কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসসমূহ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই সংযোগ বিভিন্ন ভাবে দেয়া যায়।

একটি নেটওয়ার্কের ডিভাইসসমূহ একে অপরের সাথে কীভাবে সংযুক্ত, তার জ্যামিতিক উপস্থাপনা নেটওয়ার্ক টপোলজি হিসাবে পরিচিত।

টোপোলজি গুলো নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল এবং লজিক্যাল উভয় দিককে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। একটি নেটওয়ার্কে ফিজিক্যাল এবং লজিক্যাল টপোলজি একই বা ভিন্ন হতে পারে।

 

নেটওয়ার্ক টপোলজি এর প্রকারভেদ চিত্রসহ বর্ণনা:

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে নিম্ন বর্ণিত ছয় ধরণের টপোলজি থাকে। যথা –

১। বাস নেটওয়ার্ক টপোলজি  ( Bus Network Topology )

২। রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Ring Network Topology )

৩। স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Star Network Topology )

৪। ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Tree Network Topology )

৫। মেশ নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Mesh Network Topology )

৬। হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি ( Hybrid Network Topology )

নেটওয়ার্ক টপোলজি

 

ভিডিও লেকচার পেতে YouTube চ্যানেলটিতে Subscribe করো। 

HSC ICT দ্বিতীয় অধ্যায়ের নোট পেতে ক্লিক করো।

ICT সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানতে Facebook গ্রুপে যুক্ত হও।

 

বাস টপোলজি কী ?

বাস টপোলজির ক্ষেত্রে, সকল ডিভাইসসমূহ একটি একক সংযোগ লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয় যা ব্যাকবোন হিসাবেও পরিচিত। এই সংযোগ লাইনের দুপ্রান্তে দুটি টার্মিনেটর থাকে।

প্রতিটি নোড (নেটওয়ার্কে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসকে নোড বলা হয়) ড্রপ ক্যাবল দ্বারা বা সরাসরি ব্যাকবোন তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ দ্বিমুখী হয়ে থাকে।

যখন একটি নোড অপর একটি নোডে বার্তা প্রেরণ করতে চায়, তখন ডেটা এবং প্রাপকের তথ্য কমন সংযোগ লাইনে প্রেরণ করে। কমন লাইনে সংযুক্ত সকল নোড বার্তাটি পায় অর্থাৎ ব্রডকাস্ট হয় এবং কেবলমাত্র প্রাপক তা গ্রহণ করে। একাধিক হোস্ট একই সাথে ডেটা প্রেরণ করার সময় বাস টপোলজির সমস্যা হতে পারে। সুতরাং, বাস টপোলজি হয় CSMA/CD প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা কোনও হোস্টকে সমস্যা সমাধানের জন্য বাস মাস্টার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

বাস টপোলজি

বাস টপোলজির সুবিধা

১। এই  টপোলজির প্রধান সুবিধা হলো নেটওয়ার্ক খুব সাধারণ এবং ফিজিক্যাল লাইনের সংখ্যা মাত্র একটি। ফলে ইন্সটলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী।

২। কো-এক্সিয়াল বা টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলগুলো মূলত বাস-ভিত্তিক নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় যা 10 Mbps পর্যন্ত সমর্থন করে।

৩। রিপিটারের সাহায্যে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সহজে সম্প্রসারণ করা যায়।

৪। এই টপোলজি সরল এবং ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা সহজ।

৫। এই টপোলজির কোনো একটি নোড নষ্ট হলেও অন্য নোডগুলো প্রভাবিত হয় না।

৬। সহজেই কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত এবং নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

৭। কেন্দ্রীয় কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস(হাব, সুইচ) বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না,ফলে খরচ কম হয়।

 

বাস টপোলজির অসুবিধা  

১। মূল ক্যাবল বা ব্যাকবোন নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সিস্টেম অচল হয়ে যায়।

২। এই টপোলজিতে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য কোনো সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেই। যেকোনো নোড যেকোনো সময়ে ডেটা ট্রান্সমিশন করতে পারে। যদি দুটি নোড একই সাথে বার্তা পাঠায় তবে উভয় নোডের সংকেত একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয়।

৩। যদি নেটওয়ার্কের ট্রাফিক(নোড) বৃদ্ধি পায় তাহলে নেটওয়ার্কের ডেটা কলিশন বৃদ্ধি পায়।

৪। বাস টপোলজিতে সৃষ্ট সমস্যা নির্ণয় তুলনামূলক বেশ জটিল।

৫। ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম।

রিং টপোলজি কী ? 

রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার বা নোড ক্যাবলের সাহায্যে তার পার্শ্ববর্তী দুটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে একটি লুপ বা রিং গঠন করে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটার প্রথমটির সাথে যুক্ত হয়। এই টপোলজিতে সংকেত একটি নির্দিষ্ট দিকে ট্রান্সমিশন হয়।  টপোলজির প্রতিটি ডিভিাইসে একটি রিসিভার এবং একটি ট্রান্সমিটার থাকে যা রিপিটারের কাজ করে। এক্ষেত্রে রিপিটারের দায়িত্ব হচ্ছে সংকেত একটি কম্পিউটার থেকে তার পরের কম্পিউটারে পৌছেঁ দেওয়া।

একটি নোড সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নোডের কাছে যায়। সংকেতটি ঐ নোডের জন্য হলে সে নিজে গ্রহণ করে, অন্যথায় পরবর্তী নোডে প্রেরণ করে। সংকেত কাংখিত নোডে না পৌঁছা পর্যন্ত বৃত্তাকার পথে চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে কাংখিত নোডে পৌঁছে।

রিং টপোলজি

রিং টপোলজির সুবিধা

১। নেটওয়ার্কে কোনো সার্ভার কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না।

২। কোনো নোডকে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কোনো কম্পিউটারের উপর নির্ভর করতে হয় না। অর্থাৎ প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সমিশনে সমান গুরুত্ব পায়।

৩। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলগুলো সস্তা এবং সহজেই পাওয়া যায়। অতএব, ইনস্টলেশন খরচ খুব কম।

আরো পড়ুন ::  ষষ্ঠ অধ্যায়: অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ।

৪। সংকেত একমুখী হওয়ায় ডেটা কলিশন বা সংঘর্শ হয় না।

 

রিং টপোলজির অসুবিধা 

১। নেটওয়ার্কের একটি মাত্র কম্পিউটার নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে যায়।

২। রিং টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা নিরুপণ বেশ জটিল।

৩। নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার সংযোজন বা অপসারণে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যহত হয়।

৪। ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রয়োজনীয় সময় সরাসরি নোডের সংখ্যার সাথে সমানুপাতিক। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময়ও বেড়ে যায়।

৫। রিং টপোলজির জন্য জটিল নিয়ন্ত্রণ সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়।

৬। একমুখী বৃত্তাকার পথে নোডসমূহ সংযুক্ত থাকার কারণে সরাসরি ডেটা প্রেরণ করা যায় না। ফলে সংকেত আদান-প্রদান ধীরগতি সম্পন্ন হয়।

 

 

দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ 

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

 

 

স্টার টপোলজি কী ? 

স্টার টপোলজির সকল হোস্ট/নোড একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে, কেন্দ্রীয় ডিভাইসটি হাব, সুইচ বা সার্ভার কম্পিউটারও হতে পারে। অর্থাৎ নোড এবং কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ থাকে। এই টপোলজিতে সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়।

কম্পিউটারগুলো সংযোগের জন্য কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। স্টার টপোলজিতে হাব বা সুইচগুলো মূলত ফিজিক্যাল সংযোগ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। স্টার টপোলজি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নে সর্বাধিক জনপ্রিয় টপোলজি।

এই টপোলজিতে কোনো প্রেরক নোড সংকেত প্রেরণ করতে চাইলে তা প্রথমে হাব বা সুইচে পাঠিয়ে দেয়। এরপর হাব বা সুইচ সেই সংকেতকে প্রাপক নোডে পাঠিয়ে দেয়।

 

স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজির সুবিধা

১। এই টপোলজিতে কোনো একটি নোড নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের বাকি নোডগুলো কার্যকর থাকে।

২। এই টপোলজিতে টুইস্টেড পেয়ার, কো-এক্সিয়াল ও ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করা যায়।

৩। যেকোন সময় নোড যুক্ত করা বা বাদ দেয়া যায়, এতে নেটওয়ার্ক প্রভাবিত হয় না।

৪। কেন্দ্রীয়ভাবে নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ বা সমস্যা নিরূপণ করা সহজ।

৫। ডেটা চলাচলের গতি বেশি।

৬। ডেটা চলাচলে কলিশন হওয়ার সম্ভাবনা কম।

৭। সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।

৮। কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি স্বাভাবিক থাকে।

 

স্টার টপোলজির অসুবিধা

১। এই টপোলজিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইসটি(হাব, সুইচ, সার্ভার) নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে যায়।

২। স্টার টপোলজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাবল এবং কেন্দ্রীয় ডিভাইস ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি ব্যয়বহুল।

৩। নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা কেন্দ্রীয় ডিভাইসের উপর নির্ভর করে।

৪। নোডসমূহ পরস্পরের মধ্যে সরাসরি সংকেত আদান-প্রদান করতে পারে না।

 

 

ট্রি টপোলজি কী ?  

ট্রি টপোলজি হায়ারার্কিকাল টপোলজি নামেও পরিচিত, এটি বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর মধ্যে একটি। ট্রি টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলোকে একত্রিত করে।

এই টপোলজিটি নেটওয়ার্ককে একাধিক স্তরে বিভক্ত করে, যেখানে প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়, এভাবে স্তরে স্তরে বিভক্ত থাকে। এক্ষেত্রে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সকল কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রুট নোড বলা হয়। রুট নোড হিসেবে অনেক সময় সার্ভারও থাকতে পারে।

এই টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বা বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত থাকে বলে ট্রি টপোলজি বলা হয়। সকল প্রতিবেশী হোস্টের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ রয়েছে।

ট্রি টপোলজি

 

ট্রি টপোলজির সুবিধা

১। দীর্ঘ দূরত্বে সংকেত প্রেরণ করা যায়।

২। যেকোন সময় নতুন শাখা-প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি-টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ।

৩। নতুন কোনো নোড সংযোগ বা বাদ দিলে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কাজকর্মের কোনো অসুবিধা হয় না।

৪। ট্রি টপোলজিতে ত্রুটি সনাক্তকরণ এবং সংশোধন খুব সহজ।

৫। নেটওয়ার্কের কোন নোড বা শাখা নষ্ট হলে, সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয় না।

৬। প্রতিটি পৃথক সেগমেন্ট এর জন্য পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ওয়্যারিং রয়েছে।

৭। বড় ধরণের নেটওয়ার্ক গঠনে বা অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী।

৮। ডেটা নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি।

 

ট্রি টপোলজির অসুবিধা

১। এই টপোলজি কিছুটা জটিল প্রকৃতির।

২। রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে ক্রুটি দেখা দিলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কটি অকার্যকর হয়ে যায়।

আরো পড়ুন ::  প্রোগ্রাম সংগঠন | প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহ

৩। বাস্তবায়ন ব্যয় অপেক্ষাকৃত বেশি।

৪। অন্তরবর্তী কম্পিউটারগুলো নষ্ট হলে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ অকার্যকর হয়ে যায়।

 

মেশ  টপোলজি কী ? 

মেশ টপোলজির প্রতিটি নোড নেটওয়ার্কের অধীনস্থ অন্যান্য সকল নোডের সাথে সরাসরি (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) সংযুক্ত থাকে অথবা কেবল কয়েকটি নোডের সাথে সরাসরি (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) সংযুক্ত থাকে। এতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস বা সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না।  এই টপোলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয় এবং নেটওয়ার্কের তারের সংখ্যা = (n * (n-1)) / 2 ।

মেশ  টপোলজি

মেশ টপোলজি দুই ধরণের। যথা:

পূর্ণ মেশ টপোলজি (Full Mesh Topology):

একটি পূর্ণ মেশ টপোলজিতে প্রতিটি নোড নেটওয়ার্কের অন্যান্য সকল নোডের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।

আংশিক মেশ টোপোলজি (Partial Mesh Topology):

আংশিক মেশ টপোলজিতে, প্রতিটি নোড অন্যান্য সকল নোডের সাথে সংযুক্ত না থেকে নির্দিষ্ট নোডসমূহের সাথে সংযুক্ত থাকে।

পূর্ণ মেশ টপোলজি

 

মেশ টপোলজির সুবিধা

১। যেকোনো দুটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়।

২। একটি সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলেও বিকল্প সংযোগ লাইন ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়।

৩। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে।

৪। নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়।

৫। নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করে।

৬। নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার নষ্ট বা বিছিন্ন হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে।

৭। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কমে না।

 

মেশ টপোলজির অসুবিধা

১। এই টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল।

২। নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত লিংক স্থাপন করতে হয় বিধায় এতে খরচ বেড়ে যায়।

 

 

হাইব্রিড টপোলজি কী ? 

ভিন্ন ধরণের একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে যদি নতুন এক ধরণের টপোলজি গঠিত হয় তখন নতুন টপোলজিটিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, রুপালী ব্যাংকের একটি শাখায় যদি রিং টপোলজি এবং রুপালী ব্যাংকের অন্য শাখায় বাস টপোলজির উপস্থিতি থাকে তবে এই দুটি টপোলজিকে সংযুক্ত করার ফলে হাইব্রিড টপোলজি গঠিত হবে।

ভিন্ন ধরণের একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে যদি নতুন এক ধরণের টপোলজি গঠিত না হয় তখন নতুন টপোলজিটিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, রুপালী ব্যাংকের একটি শাখায় যদি স্টার টপোলজি এবং রুপালী ব্যাংকের অন্য শাখায় ট্রি টপোলজির উপস্থিতি থাকে তবে এই দুটি টপোলজিকে সংযুক্ত করার ফলে ট্রি টপোলজিই গঠিত হবে।

ইন্টারনেটকে হাইব্রিড টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক, কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়।

 

হাইব্রিড টপোলজি

 

হাইব্রিড টপোলজির সুবিধা

১। এই টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার সুযোগ রয়েছে।

২। কোনো একটি অংশ নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয় না।

 

হাইব্রিড টপোলজির অসুবিধা

১। হাইব্রিড টপোলজির বড় অসুবিধা হলো হাইব্রিড নেটওয়ার্কের নকশা বা ডিজাইন করা। হাইব্রিড নেটওয়ার্কের আর্কিটেকচার ডিজাইন করা খুব কঠিন।

২। ইন্সটলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল প্রকৃতির।

৩। হাইব্রিড নেটওয়ার্কে প্রচুর ক্যাবলিং, নেটওয়ার্ক ডিভাইস ইত্যাদির প্রয়োজন হওয়ায় কাঠামোর ব্যয় খুব বেশি।

 

HSC ICT এর সকল অধ্যায়

 

পাঠ মূল্যায়ন-

জ্ঞানমূলক প্রশ্নসমূহঃ

ক) নেটওয়ার্ক টপোলজি কী?

ক) বাস/ স্টার/ রিং/ ট্রি/ মেশ টপোলজি কী?

Go for answer

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্নসমূহঃ

খ) “ট্রি টপোলজি হলো একাধিক সংযুক্ত স্টার টপোলজি”- ব্যাখ্যা কর।

খ) “মেশ টপোলজি নির্ভরযোগ্য”-ব্যাখ্যা কর।

খ) মেশ টপোলজি কোন ক্ষেত্রে বেশী উপযোগী? ব্যাখ্যা কর।

Go for Answer

 

সৃজনশীল প্রশ্নসমূহঃ

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত উদ্দীপক

গ) উদ্দীপকের চিত্রগুলোর মধ্যে কোনটি ব্যয়বহুল? ব্যাখ্যা কর।

ঘ) A, B, C কে ব্যবহার করে নতুন টপোলজি তৈরি সম্ভব কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত বোর্ড প্রশ্ন

গ) চিত্র-১ এ নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ) চিত্র-২ ও চিত্র-3 নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক? বিশ্লেষণ করে মতামত দাও।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত উদ্দীপক

গ) উদ্দীপকে চিত্র-১ এর প্রতিটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করলে যে টপোলজি তৈরি হবে তা চিত্রসহ আলোচনা কর।

ঘ) উদ্দীপকের ২ ও ৩ নং টপোলজিদ্বয়ের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? বিশ্লেষণ কর।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত বোর্ড প্রশ্ন উদ্দীপক

গ) চিত্র-২ ও চিত্র-৩ সংযুক্ত করলে কোন ধরনের টপোলজি গঠিত হবে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ) স্বল্প ব্যয়ে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য উদ্দীপকের কোন টপোলজিটি অধিকতর উপযোগী? তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

আরো পড়ুন ::  ষষ্ঠ অধ্যায় পাঠ-৮ : ডেটাবেজ রিলেশন এবং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ।

টপোলজি সম্পর্কিত উদ্দীপক

গ) উদ্দীপকের নেটওয়ার্ক টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ) ‘খ’ চিত্রের টপোলজির Y চিহ্নিত নোড নষ্ট হয়ে গেলে নেটওয়ার্ক কীভাবে সচল রাখবে? তোমার মতামত দাও।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত উদ্দীপক

গ) উদ্দীপকের চিত্র-১ এ A হতে C তে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাখ্যা কর।

 

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ  

টপোলজি সম্পর্কিত উদ্দীপক

গ) উদ্দীপকে ৫ নং কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে কী অসুবিধা হবে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ) উদ্দীপকে কত ধরনের টপোলজী ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে? বিশ্লেষণ কর।

 

বহুনির্বাচনি প্রশ্নসমূহঃ

১। দশটি কম্পিউটার একটি তারের সাথে সংযুক্ত থাকলে সেটি কোন ধরনের নেটওয়ার্ক টপোলজি?

ক) স্টার           খ) বাস           গ) হাইব্রিড       ঘ) রিং

২। কোন টপোলজিতে একটি কেন্দীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইস থাকে?

ক) স্টার           খ) মেশ          গ) রিং           ঘ) বাস

৩। স্টার টপোলজিতে কোন ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয়?

ক) হাব           খ) মডেম       গ) রাউটার        ঘ) রিপিটার

৪। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর জন্য কয় ধরনের টপোলজি ব্যবহার করা হয়?

ক) ৩             খ) ৪              গ) ৫             ঘ) ৬

নিচের চিত্রটি লক্ষ এবং ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

টপোলজি সম্পর্কিত MCQ

৫। ২ ও ৭ নং নোড নষ্ট হলে কোন নোডগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক সচল থাকবে?

ক) 1,3 এবং 6           খ) 4 এবং 6    গ) 1,3 এবং 4            ঘ) 1,3,4 এবং 6

৬। নেটওয়ার্ক টপোলজিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়-

i. সক্রিয় হাব     ii. নিষ্ক্রিয় হাব       iii. সুইচ

নিচের কোনটি সঠিক

ক) i ও ii       খ) i ও iii      গ) ii ও iii      ঘ) i, ii ও iii

৭। কোন টপোলজিতে প্রথম ও শেষ কম্পিউটার পরস্পর সরাসরি যুক্ত থাকে?

i. বাস     ii. রিং      iii. মেশ

নিচের কোনটি সঠিক

ক) i ও ii       খ) i ও iii      গ) ii ও iii      ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮ ও ৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

“x” কলেজে বিভিন্ন বিভাগের কম্পিউটারগুলো এমনভাবে  যুক্ত রয়েছে, যেন প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত  কম্পিউটারগুলো চক্রাকারে যুক্ত। কিন্তু সময় বাচানোর জন্য আইসিটি শিক্ষক নেটওয়ার্ক টপোলজির পরিবর্তন করলেন।

৮। কলেজটিতে কোন ধরনের টপোলজি ব্যবহৃত হয়েছে?

ক) স্টার          খ) রিং           গ) বাস           ঘ) মেশ

৯। আইসিটি বিভাগের শিক্ষক দ্রুত ডেটা আদান-প্রদানের জন্য কোন ধরনের টপোলজি ব্যবহার করেন?

ক) স্টার          খ) রিং           গ) বাস           ঘ) মেশ

নিচের চিত্রটি লক্ষ এবং ১০ ও ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

টপোলজি সম্পর্কিত MCQ

১০।  চিত্রের টপোলজি কোন ধরনের?

ক) স্টার          খ) রিং           গ) বাস           ঘ) ট্রি

১১। চিত্রের প্রতিটি কম্পিউটার অপর সকল কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত করলে কোন টপোলজি হবে?

ক) স্টার          খ) রিং           গ) বাস           ঘ) মেশ

১২। নেটওয়ার্কের কোন ধরনের সংগঠনে হোস্ট কম্পিউটার থাকে না?

ক) স্টার     খ) বাস     গ) সংকর    ঘ) শাখা-প্রশাখা

১৩। কোন টপোলজিতে একটি মাত্র স্টেশন এক সময়ে তথ্য প্রেরণ করতে পারে?

ক) স্টার          খ) বাস         গ) রিং        ঘ) ট্রি

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৪ ও ১৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাওঃ

মি. বিশ্বজিত তার অফিসে দশটি কম্পিউটার এমন ভাবে যুক্ত  করে নেটওয়ার্ক তৈরি করলেন, যাতে ১ম, ২য় ও শেষ কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। হঠাৎ একদিন একটি কম্পিউটার নষ্ট  হওয়ায় নেটওয়ার্কটি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি নেটওয়ার্কটির কাঠামো পরিবর্তনের সিধান্ত নিলেন।

১৪। উদ্দীপকের নেটওয়ার্ক  টপোলজিটি  কী?

ক) স্টার     খ) বাস     গ) রিং       ঘ) মেশ

১৫। মি. বিশ্বজিতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সমাধান হলো-

i. কম্পিউটার পরিবর্তন করা

ii. হাব/ সুইচ স্থাপন করা

iii.একটি মূল লাইন স্থাপন করা

নিচের কোনটি সঠিক

ক) i ও ii       খ) i ও iii      গ) ii ও iii      ঘ) i, ii ও iii

১৬। ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক টপোলজিটি কী?

ক) স্টার     খ) বাস     গ) হাইব্রিড      ঘ) মেশ

 

এই অধ্যায়ের সকল MCQ দেখতে ক্লিক করো 

 


Written by,

Spread the love

11 thoughts on “নেটওয়ার্ক টপোলজি – বাস, রিং, স্টার, ট্রি, মেশ ও হাইব্রিড টপোলজি

  1. অনেক সুন্দর হয়ছে । আমি লেকচার রেডি করছিলাম ভাবতেই পারিনি এত সহজে এই জিনিস গুলো হাতের কাছেই পাব । ধন্নবাদ

  2. ৮০ টা কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে বাস, স্টার, রিং এর মধ্যে কোন টপোলজি ব্যবহার সুবিধাজনক?

  3. কোন টপোলজিতে একটি মাত্র হাব এবং সুইচ ব্যবহার করা হয়?

  4. পড়তে ভালো লাগছে। অনেক ইজি ভাবে এটা উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

  5. রিং টপোলজি ও বাস টপোলজি এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনটি অধিক সুবিধাজনক?

  6. বাস মেশ আর ট্রি টপোলজির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধজনক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *